দ্বিতীয় দফায় অন্য ২৭টি পৌরসভার মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হচ্ছে শরীয়তপুরে। এ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ৯২ বছর বয়সী হাফেজা বেগম। প্রথম বারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে নাতির কোলে চড়ে আসেন পৌর এলাকার আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে।
ভোট শেষে স্বস্তির ছাপ দেখা যায় তার চোখে-মুখে। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভাঙা ভাঙা গলায় হাফেজা বলেন, ‘হুনছি মেশিনত বোড (ভোট) অইব। হেইয়্যার লাইগ্যাই আইছি। বোডও দিলাম মেশিনও দ্যাখলাম।’
‘কী সুন্দর কারেংয়ের (বিদ্যুৎ) মেশিন! টিপ দিলেই বোড অইয়্যা যায়। আমি হ্যাশ (শেষ) বয়সে আইয়্যা আচৈর্য্যা অইলাম। সময় লাগে নাই। তিনড্যা টিপ দিছি। লগে লগে বোড অইয়্যা গ্যাছে। আনন্দই লাগদাছে।’
শরীয়তপুর পৌর নির্বাচনে সকালে থেকেই কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভোটার। নারী ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইভিএমে ভোট গ্রহণ কিছুটা ধীর গতিতে হচ্ছে।
আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহিন সরকার বলেন, ‘এবারই শরীয়তপুরে প্রথম ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ভোটাররা স্বাচ্ছন্দ্যেই ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোট গ্রহণে রয়েছে কিছুটা ধীর গতি। ইভিএম সম্পর্কে মানুষের ধারণা কম থাকায় এমনটা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাইনে যতক্ষণ ভোটার থাকবে, আমরাও ভোট গ্রহণ চালিয়ে যাব। এখনও পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ভোট গ্রহণ নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেনি।’
শরীয়তপুরে মেয়র পদে চার, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৮টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩৮ হাজার ৭৪৭।